Wednesday 17 October 2012

Poem of Jakir Hosen


Like you people we have to belief our friend  


Another facebook trouble averted Cops active this time in Ctg; HC asks govt to explain detention of innocents over Ramu attacks


The Daily Star

Your Right To Know
Thursday, October 18, 2012
































Another facebook trouble averted

Cops active this time in Ctg; HC asks govt to explain detention of innocents over Ramu attacks

Rangunia police on Tuesday night took a youth in custody, as an image offensive to Islam had been found on his facebook page.
The law enforcers, however, found the youth innocent as he had not uploaded the image; rather it was a series of technical issues involved in the incident.
Meanwhile, in connection with the Ramu violence, the High Court yesterday asked the government to explain in 12 hours as to why the detention of Uttam Barua's family members should not be declared illegal and why the detainees should not be released.
The youth taken in custody on Tuesday was identified as Nirjan Barua, 20, son of Mithu Barua of Sayedbari village at Rangunia upazila in Chittagong. He is an eighth-semester student of automobile department at Bangladesh Sweden Polytechnic Institute in Kaptai.
ASM Nizam Uddin, additional superintendent of police (ASP) of Hathazari circle, told The Daily Star that Nirjan had subscribed to a facebook page Uchcha Shikkhai Bidesh Jatra [Going abroad for higher education], where somebody had shared the anti-Islam image from another page named “I hate Islam”.
The ASP said Nirjan had found the image two to three days ago. Below the photo, he had written a comment to the page administrator to delete it because this kind of images would get the members of the page into trouble.
What Nirjan did not know that writing a comment on any other facebook page would show the whole content on his facebook page, the ASP added.
He said when some facebook friends of Nirjan had seen the image, they informed him of it. He immediately deleted the image from his page, but in the meantime, the news had spread in his locality.
On Tuesday morning, some locals went to his house to enquire about the image. He told them the whole story but could not convince them. In the evening, police came to know about the matter and called Nirjan to Rangunia Police Station around 10:00pm.
Police had checked the “activity log” of Nirjan's facebook account and found the comment with the image, said ASP Nizam, adding that police also found that he had deleted the image from his account.
The law enforcers were convinced that the youth was innocent but the locals could not understand the technical matters involved with the incident.
On Tuesday night, police called four of the locals, who had visited Nirjan's house, to brief them about what had actually happened. Of the four, one person has an account in the facebook.
“I explained to them how the image came to Nirjan's page by performing the same actions in my facebook account and convinced them,” said the ASP.
Since the issue is quite sensitive, police kept Nirjan in safe custody. They would free him once law enforcers became sure that nothing untoward would take place, said Monjurul Morshed, officer-in-charge of Rangunia Police Station.
HC ON UTTAM'S FAMILY MEMBERS
The High Court (HC) in a suo moto rule yesterday expressed anxiety over the detention of Uttam's mother and his aunt, if they had been arrested illegally and were not released by 10:30am today.
The bench of Justice AHM Shamsuddin Choudhury Manik and Justice Farid Ahmed also asked the deputy attorney general (DAG) to inform it about the legal status of the detained members of Uttam's family by the stipulated time.
Madhu Barua, 40, mother of Uttam whose fabricated facebook page was used to stir up the September 29 attacks on the Buddhists in Ramu, and his aunt Adi Barua, 26, were arrested on the next day of the violence in connection with a case that was actually filed on October 1, a day after the arrest.
Anisha, two-year-old daughter of Adi Barua, is now in custody with her mother.
The HC bench passed the order verbally following the reports published yesterday in a few national dailies including The Daily Star over the detention of Madhu, Adi and Anisha.
It also said the rule would not be executed if the detainees were released by 10:30am today [Thursday].
Meanwhile, a Cox's Bazar court yesterday sent Madhu and Adi to jail after a day's remand cancelling their bail, reports our Chittagong correspondent.
DAG Amit Talukder told The Daily Star that he had informed the superintendent of police in Cox's Bazar of the HC order over the phone.
The inspector general of police (IGP) yesterday submitted a report to another HC bench saying that additional forces of police, Rapid Action Battalion and Border Guard Bangladesh had been deployed in Ramu to avoid further untoward incidents and so that the non-Muslim minority could perform their religious activities smoothly.
According to the IGP, a total of 211 people had been arrested in 16 cases filed in connection with the incidents and many of them had been placed on remand.
The bench of Justice Mirza Hussain Haider and Justice Kazi Md Ejarul Haque Akondo ordered the government to submit the investigation report on Ramu violence in two weeks.
A correspondent from Cox's Bazar reports that three more cases had been filed with Ukhia Police Station last night on charges of torching, vandalising and looting Buddhist and Hindu temples on September 30.

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮ অক্টোবর ২০১২, ৩ কার্তিক ১৪১৯, ১ জিলহজ ১৪৩৩

রামুর তাণ্ডব নিয়ে দোষারোপের আড়ালেমাহমুদুল বাসার
রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের পটিয়ায় যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটল, তাকে নাকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলা চলে না! এমনই বলেছেন, আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম। তিনি বলেছেন, 'রামু, উখিয়া ও টেকনাফের ঘটনা কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এ হামলা অত্যন্ত পরিকল্পিত। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই এটা করা হয়েছে। একে হালকা করে দেখা উচিত নয়। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া কারো জন্য সুফল বয়ে আনবে না।' (কালের কণ্ঠ, ১৪ অক্টোবর, ২০১২)।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে চলছে এখন চরম আত্মকলহ; তাঁরা এখন সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত। ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলামের বিবৃতির মধ্যেও তার ছায়া পড়েছে। তিনি দুকূল রক্ষা করে গা-বাঁচানো বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে সরকারকে থ্রেট দিয়ে বলেছেন, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া কারো জন্য সুফল বয়ে আনবে না।
পঁচাত্তরপরবর্তী সামরিক শাসকরা তো 'বিদেশ' বলতে শুধু ভারতকেই বোঝাতেন। সব দোষ ভারতের ওপর চাপিয়ে দিতেন। এমনই মনে হতো তাঁদের কথা শুনে যে পৃথিবীতে ভারতই বাংলাদেশের শত্রু আর একমাত্র পাকিস্তান আমাদের মিত্র। ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলামের বিবৃতি পড়ে মনে পড়ল সে সব কথা। বলেছেন তিনি, 'বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই এটা করা হয়েছে।'
বৌদ্ধপল্লীতে হামলাকারীরা এতই ইনটেলেকচুয়াল যে তারা বিদেশিদের সঙ্গে পরামর্শ করে শুধুই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এহেন তাণ্ডব চালিয়েছিল। এ কথাই বলতে চান ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম।
পাকিস্তান নামক একটি নিরেট সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে আমরা ২৪ বছর বসবাস করেছি। আইয়ুব-মোনায়েম ও টিক্কা-ইয়াহিয়া খানের মতো দুর্বৃত্ত শাসকরা আমাদের বছরের পর বছর শাসন করেছে, তারা আমাদের প্রভু ছিল। যদি ইংরেজরা এ দেশে তাদের সমর্থক তৈরি করতে পারে, তাহলে পাকিস্তানি শাসক-শোষকরাও সমর্থক তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে এ দেশে।
পাকিস্তান সমর্থকদের বলবান, গর্জনশীল অস্তিত্ব আমরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই টের পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো অবিসংবাদিত নেতাকে রাতারাতি ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য, তার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার জন্য তখনকার অধিকাংশ বিরোধী দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল কমরেড মণি সিংহের কমিউনিস্ট পার্টি এবং অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের ন্যাপ। তারা কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেকড় মেলতে পারল? তারা কি হালে পানি পেল? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে এ দেশে স্লোগান শুনেছি, 'মুজিব-মণি-মোজাফফর বাংলার মীর জাফর।' এই স্লোগান সাম্প্রদায়িক উস্কানি থেকে দেওয়া হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বলা হতো 'ভারতের পুতুল সরকার'। এই বক্তব্যের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি লুকিয়ে আছে।
শের-ই-বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কমরেড মণি সিংহ ও অধ্যাপক মোজাফফর সারাজীবন রাজনীতি করে বাংলাদেশের মাটিতে যে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ অবকাঠামো নির্মাণ করেছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড তা ভেঙে চুরমার করে দেয়। পঁচাত্তরপরবর্তী রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তি অপ্রতিরোধ্য গতিতে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করা হয়েছে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপরাধে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিদেশে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়েছে খুনের কারণ হিসেবে। ১৯৭৫-এর পটপরিবর্তনের বেনিফিশিয়ারিরা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ১৯৭১-এ লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের ম্যান্ডেট পরিবর্তন করে সাম্প্রদায়িক স্টেট পলিসি গ্রহণ করে। তারা সংবিধানের মতো সর্বজনীন দলিলকে ধর্মভিত্তিক করে, সংবিধান এখনো ধর্মীয় পক্ষপাতযুক্ত। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?
এভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দানবের মতো বলীয়ান করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এতটাই জোরালো যে শেখ হাসিনাকে সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে পা গুনে গুনে চলতে হয়। তিনি রোজা-নামাজ করেন তার ছবি ক্যালেন্ডারে প্রকাশ করে দেখাতে হয়। তিনি ভয়ে 'ধর্মনিরপেক্ষ' কথাটি উচ্চারণ করেন না, বলেন, 'অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলব।'
যে দেশে একটি বাম সংগঠন গড়ে উঠতে পারল না, যে দেশে উদীচী নামক সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হলো, সিনেমা হলে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হলো, যাত্রাশিল্পীদের প্যান্ডেল জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে হাজার হাজার মানুষকে উদ্বাস্তু করা হলো, নারী ধর্ষণ করা হলো, যে দেশে জামায়াতে ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধী রাজানৈতিক সংগঠন ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে চলেছে, সে দেশের রামু, উখিয়া, টেকনাফে শুধু বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ভোঁতা দৃষ্টিতে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে- এ কথাও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?
http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=1036&cat_id=2&menu_id=20&news_type_id=1&index=2



উখিয়ায় আরও ৩ মামলা :বিএনপি নেতা গ্রেফতার
 
রেটিং :
 
0%
 
গড় রেটিং:
উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
উখিয়ায় সংঘটিত সাম্প্র্রদায়িক সহিংস ঘটনার ১৬ দিন পর বৌদ্ধ মন্দিরে অগি্নসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় উখিয়া থানায় আরও ৩টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় নতুনভাবে দেড় শতাধিক অজ্ঞাতপরিচয় আসামির কথা বলা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর বড়বিল বৌদ্ধবিহার ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত বিএনপির হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সভাপতিকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দিনে ও রাতে ঘটে যাওয়া সাম্প্র্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় উখিয়া সদরের রাজাপালং ইউনিয়নের প্রাচীন জাদী বৌদ্ধবিহার, খয়রাতি খালপাড়া বৌদ্ধবিহার, রেজুরকুল বৌদ্ধবিহার, রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না সুদর্শন বৌদ্ধবিহার, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধবিহার, উত্তর বড়বিল বৌদ্ধবিহার ও পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারায় হিন্দুদের ভুবনেশ্বরী মন্দির ভাংচুর, অগি্নসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল সাম্প্র্রদায়িক সন্ত্রাসীরা পশ্চিম মরিচ্যায় ৩টি বৌদ্ধ বসতি ও পালংখালীতে ৪টি বৌদ্ধ বসতি এবং ৩টি দোকান ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করে। উখিয়ায় ৭টি বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দির সাম্প্র্রদায়িক সন্ত্রাসীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তন্মধ্যে পশ্চিম মরিচ্যা দীপাংকুর এবং খয়রাতি খালপাড়া বৌদ্ধবিহার সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উখিয়ার কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে আইজিপিকে জানানো হয়, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়নি। তাদের অব্যাহত হুমকিতে সংখ্যালঘু সম্প্র্রদায়ের লোকজন ভয়ভীতি ও আতঙ্কে রয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বরের সহিংস ঘটনায় উখিয়া সদরের রাজাপালং ইউনিয়নের সম্পূূর্ণ ভস্মীভূত খয়রাতি খালপাড় বৌদ্ধবিহার, রেজুরকুল বৌদ্ধবিহার ভাংচুর, বৌদ্ধ মূর্তি লুট ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল বৌদ্ধবিহার ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।
সংখ্যালঘুদের এসব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি সহিংস ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা বা মামলা না হওয়ায় পুলিশের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত এসব ঘটনায় মামলা দায়ের করে আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার নির্দেশে অবশেষে ঘটনার ১৬ দিন পর মঙ্গলবার গভীর রাতে উপরোক্ত ৩টি ঘটনায় পৃথকভাবে তিনটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নীলু কান্তি বড়ূয়া।
উখিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তহিদুল আলম বলেন, সাম্প্র্রদায়িক সহিংস ঘটনায় সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। মূলত উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটছে। অথচ এজন্য বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের দোষারোপ করা হচ্ছে।

বৌদ্ধবিহার থেকে মার্কিন নির্বাচন




বৌদ্ধবিহার থেকে মার্কিন নির্বাচন
 
রেটিং :
 
0%
 
গড় রেটিং:
কণ্ঠস্বর
 রাহাত খান
লিখতে চাইছি ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে। তবে উত্তম বড়ূয়ার মা ও বোনকে কেন গ্রেফতার করা হলো, আগে এই প্রশ্ন না করে পারছি না। তদন্তেই প্রমাণিত হয়েছে, উত্তম বড়ূয়ার ফেসবুকে ইসলামবিরোধী, কোরআন শরিফবিরোধী যে বক্তব্য, তা সুকৌশলে ট্যাগ করা হয়েছে। ট্যাগ করার পেছনে যে ছেলেটি যুক্ত, সেই অপরাধীকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ট্যাগ করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছে গ্রেফতারকৃত ফারুক। সে এই ট্যাগ জালিয়াতের পেছনে জড়িত আরেক ব্যক্তির নামও প্রকাশ করেছে এবং ফারুকের স্বীকারোক্তির খেই ধরে সেই ব্যক্তিকেও ধরা হয়েছে। ফারুক ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য। রামু, টেকনাফ ও উখিয়ার বহু প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসযজ্ঞ, লুটপাট ও বৌদ্ধদের ঘরবাড়িতে অগি্নসংযোগ কারা করতে পারে, অতঃপর সেটা বোঝা কঠিন নয় মোটেও। জ্ঞানপাপীরাই শুধু খামোকা শব্দের অপচয় ঘটিয়ে হাস্যকর উক্তি করতে পারে।
১৯৭২ সালে বাঙালিদের ওপর ঠিক এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ, লুটপাট ও অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছিল বর্বর পাকিস্তান বাহিনী আর তাদের মদদ জুগিয়েছিল আলবদর, রাজাকার ও আলশামসের দালালরা। বৌদ্ধবিহার ধ্বংসের নারকীয় ঘটনা সেই বর্বর ধ্বংসযজ্ঞের স্টাইলকেই মনে করিয়ে দেয়। মওদুদিবাদী জামায়াত এবং অধুনা তাদের রাজনীতির পরিবারভুক্ত বিএনপির কিছু লোকই সাম্প্রদায়িকতার ঘৃণা বিষবাষ্প উস্কে দিয়ে রামু, উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধবিহারের এই ধ্বংসযজ্ঞ সাধন করেছে। এ বিষয়ে বিএনপির মওদুদির রিপোর্ট সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য! তারা তো নিজেদের করা সব অপকর্ম চাপা দিতে এ ধরনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ দায়ী বলে রায় দেন বরাবরই। ২১ আগস্টে জঘন্য গ্রেনেডবাজিতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যাচেষ্টার পেছনেও নাকি দায়ী ছিল আওয়ামী লীগ নিজেই! সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া দম্ভভরে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কাছে নাকি প্রমাণপত্রও ছিল!
সেই প্রমাণপত্রের নাম কি জজ মিয়া নাটক? আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতাসীন হওয়ার দেড় মাসের মধ্যে ঘটেছিল পিলখানায় ৪৭ জন দক্ষ, মেধাবী সমরকর্তাদের নির্মম-নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এটাও নাকি বিএনপি-জামায়াতের ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগই করেছিল! কেন করেছিল? আওয়ামী লীগ নাকি 'বাংলাদেশ আর্মি'র ওপর নাখোশ!
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আর্মির ওপর নাখোশ হবে কেন? স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তো গড়ে তুলেছিল বঙ্গবন্ধু-তাজউদ্দীন আহমদের সরকারই। তা ছাড়া ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেটা ছিল দেশি-বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দল ও রাজনৈতিক মহলের মতে, সবচেয়ে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন। সেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ৪৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্র করবে কেন আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার?
এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই বিএনপি-জামায়াতের কাছে। সদুত্তর নেই পিলখানা গার্নেজের দিন খুব ভোর-সকালে কালো কাচে ঘেরা গাড়িতে করে তদানীন্তন ক্যান্টনমেন্টের 'বাড়ি' থেকে বেরিয়ে পরবর্তী তিন দিন কোথায় পালিয়ে ছিলেন বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়া! বিশেষ একটি দেশের হাইকমিশনে? সম্ভবত তাই। কিন্তু পালিয়ে তিন দিন নিখোঁজ ছিলেন কেন? খালেদা জিয়া কোনোদিন এ প্রশ্নের উত্তর দেননি। যেমন উত্তর দেননি ফখরুদ্দীন সরকার আমলে তার ও তার 'যোগ্য' অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের কালো টাকা সাদা করার ঘটনাটির। এটা কি দুর্নীতির চরম পরাকাষ্ঠা নয়? অন্য কোনো সভ্য দেশ হলে শুধু কালো টাকা দণ্ড দিয়ে সাদা করার অপরাধেই রাজনীতিতে ডিসকোয়ালিফাইড বলে গণ্য হতেন তারা। এসব লোক এবং তাদের দল ও মিত্ররা যখন সবকিছুর জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে, অবাক হই না। কারণ, কে না জানে এক কান কাটা চোর কাটা কান হাতচাপা দিয়ে বাজারে ও জনসমাগমে চলাফেরা করে। কিন্তু চুরির দায়ে দুই কান কাটা চোর কান হাতচাপা না দিয়েই চলাফেরা করে! ন্যাংটার আবার বাটপারের ভয় কি?
আওয়ামী লীগ, সরকারের সংযুক্ত অন্যান্য দল, কমিউনিস্ট পার্টিগুলো (হক, তোয়াহা, মতিনের অনুসারী ছাড়া) অসাম্প্রদায়িক, এটা বহু বছর ধরে রাজনীতিতে পরীক্ষিত সত্য। এরপরও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঘৃণ্য অনুসারীরা দেশে সংঘটিত যে কোনো বড়মাপের হত্যাযজ্ঞ এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হত্যা ও লুটপাটের মতো জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ী করে আওয়ামী লীগকে! এতে আর কিছু না হোক, দুই কান কাটা সাম্প্রদায়িক দলগুলোর নির্লজ্জতা নানাভাবে নানারূপে ঠিকই প্রকাশ পায়।
বৌদ্ধবিহারের ঘটনার নেপথ্যে উত্তম বড়ূয়ার ফেসবুককে কৌশলে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা এখন প্রমাণিত সত্য। এরপরও উত্তমের মা-বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন? পুলিশ বা প্রশাসনের কারা এই কাজটা করেছে? যারাই করে থাকুক, তারা যে দেশের সাম্প্রদায়িক ও পাকিস্তানপন্থি লোকদের অনুসারী ও এজেন্ট এবং সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা সরকারের শত্রু, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এদের চিহ্নিত করা উচিত। সন্ত্রাসীদের চেয়েও ভয়ঙ্কর ও ক্ষতিকর সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা এসব আমলা ও পুলিশকে সরিয়ে না দিলে এর ফল সরকারকেই ভোগ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, বৌদ্ধবিহার ধ্বংসে শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধ সম্প্রদায় এমনিতে সংক্ষুব্ধ। তার ওপর সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘরের শত্রু বিভীষণরা যদি উত্তম বড়ূয়ার মা ও বোনকে গ্রেফতারের প্রশ্নে আরও সংক্ষুব্ধ হয়, তাহলে আর কোনোভাবে না হোক, ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে এই সংক্ষোভের প্রতিফলন ঘটবেই। আর চক্রান্তবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি তো সেটাই চায়।
আমি যখন এই লেখা তৈরি করছি, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী_ বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক এইচ ওবামা এবং তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিট রমনির মধ্যে দ্বিতীয় দফা তর্কযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। প্রথম তর্কযুদ্ধে ওবামা ছিলেন রক্ষণাত্মক এবং ম্রিয়মাণ। এতে করে তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা মিট রমনির ঔজ্জ্বল্যের কাছে ম্লান হয়ে গিয়েছিল। প্রথম তর্কযুদ্ধের আগ পর্যন্ত ওবামা রমনির চেয়ে বরাবর পাঁচ থেকে দুই পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু বিতর্ক শেষ হওয়ার পর অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পেশাদার জরিপের ফলাফলে মিট রমনি শুধু সেই ব্যবধান কমিয়েই আনেননি, সব বিচারেই ওবামার চেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন দুই থেকে পাঁচ পয়েন্টে। রিপাবলিকান পার্টি বিভক্তি মতভেদ ও স্ববিরোধিতা কাটিয়ে যেন নবজীবন লাভ করল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলো তাদের হাত থেকে জনগণের গ্রহণযোগ্যতার গুণে বারাক ওবামার আয়ত্তে চলে গিয়েছিল, অথচ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার প্রশ্নে অত্যাবশ্যক সেসব রাজ্যের কোনো কোনোটি এখন আবার চলে গেছে রিপাবলিকানদের আয়ত্তে।
অবশ্য দ্বিতীয় তর্কযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ওবামা তার সেই অবিস্মরণীয় বাগ্মিতা, যুক্তিগুণ এবং সপ্রতিভতা বহুলাংশে ফিরে পেয়েছেন বলেই বিভিন্ন গ্যালপ পোলের সূত্রে জানা গেছে। দ্বিতীয় তর্কযুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। বিশেষ করে, ওবামার ট্যাক্স আরোপ, পররাষ্ট্রনীতি ও স্বাস্থ্যসেবা আইনের বিপক্ষে এবার রমনি আগেরবারের মতো প্রায় ওয়াক পাওয়া দূরে থাকুক, বিতর্কে এসব বিষয়ে ওবামাকে অতিক্রম করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
ওবামার নির্বাচনী ট্রাম্পকার্ড হচ্ছে আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ গোষ্ঠী, উদার নীতিতে বিশ্বাসী মার্কিন শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র ভোটারশ্রেণী এবং মার্কিন মহিলাদের গরিষ্ঠ অংশ। ওবামার নির্বাচনী দুর্বলতা হচ্ছে অর্থনীতিতে ধস, বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আরব বসন্ত আন্দোলনে সঠিক নেতৃত্ব দিতে না পারা। তবে এখন ওবামার পক্ষে যাবে অর্থনীতি শ্লথগতিতে হলেও গতি সঞ্চার হওয়া, বেকারত্ব আগের তুলনায় দেড় পার্সেন্ট কমিয়ে আনা, ইসরায়েলি যুদ্ধবাজ নেতা নেতানিয়াহুর গর্জনে অটল থেকেও ইরান-যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না পড়া এবং ইহুদি লবির একটা বড় অংশের সমর্থন পাওয়া। ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য দেশে ফিরিয়ে আনতে পারা এবং অতি অবশ্যই, নাইন-ইলেভেনের 'ভিলেন' ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার কৃতিত্ব। সবই নির্বাচনে ওবামার পক্ষে যাবে বলে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
অন্যদিকে মিট রমনির ট্রাম্পকার্ড হচ্ছে বারাক ওবামার যা কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতা, সবকিছু বিতর্কে তিনি সুনিপুণ_ সামান্য ব্যর্থতাকেও অসামান্য করে তুলতে পারেন ভোটারদের কাছে। মার্কিনিদের চিরকালীন আদর্শ হচ্ছে পুঁজিবাদকে সম্প্রসারিত করা এবং ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ভূমিকাকে সমর্থন করা। মার্কিন পুঁজিবাদকে 'ওয়েলফেয়ারের' একটা রূপ দিতে চাইছেন ওবামা_ এই অভিযোগ রক্ষণশীল মার্কিন শ্বেতাঙ্গদের বড় অংশটিকে ওবামাবিরোধী করে তুলতে পারে। এ ছাড়া লিবীয় দূতাবাসে হামলা ও রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন মার্কিনির মৃত্যু নির্বাচনে ওবামার গ্রহণযোগ্যতাকে চাপের মধ্যে ফেলতে পারে।
নির্বাচনে মিট রমনির দুর্বলতা হচ্ছে, নিজের ব্যবসা-সাম্রাজ্যে আউট সোর্সিংয়ের সুবাদে কয়েক হাজার মার্কিনিকে বরখাস্ত করা। নির্বাচনে পরিষ্কার কোনো অঙ্গীকার তুলে ধরতে না পারা। দুনিয়ার যত ভালো ভালো কথা, সব উচ্চারণ করা এবং রাজনীতিকে ধোঁয়াটে করে তোলা। তার নিশ্চিত ভোটব্যাংকের পরিধি ক্রমে প্রসারিত হচ্ছে বটে, তবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ওবামার নিশ্চিত ভোটব্যাংকে কতটা হানা দিতে সক্ষম হবেন, তা বলা সহজ নয়। আগামী ৬ নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জয়ের সম্ভাবনা এখনও ওবামার বেশি। তবে এক মাসে কত কিছু ঘটতে পারে। তাই নির্বাচনে ফলাফল কী হবে, সেটা সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।

রাহাত খান :কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক









c‡ii msev`†kvK msev`

nvB‡KvU©‡K cywjk cÖavb: ivgyi NUbvq e¨e¯’v wb‡Z †`wi nqwb
†fv‡ii KvMR : 18/10/2012
KvMR cÖwZ‡e`K : ivgy‡Z †eŠ×gw›`i I emwZ‡Z nvgjvi Lei cvIqv gvÎB AwZwi³ cywjk †gvZv‡q‡bi c`‡¶c †bqv nq e‡j nvB‡KvU©‡K Rvwb‡q‡Qb nvmvb gvngy` L›`Kvi|

Av`vj‡Zi Av‡`‡k eyaevi †`qv GK cÖwZ‡e`‡b G `vwe Ki‡jI 29 †m‡Þ¤^i iv‡Z IB nvgjv ïiæi ci KLb Lei †c‡qwQ‡jb, Zv Rvbvbwb cywjkcÖavb|

†dmey‡K KziAvb Aegvbbvi Awf‡hvM Zz‡j ivZ 10Uvi w`‡K ivgy‡Z wgwQj †ei nq, mgv‡ekI nq| Gici ivZ 11Uv †_‡K ïiæ nq DMÖcš’x‡`i nvgjv-fvOPzi-Av¸b| †fvi 4Uvi w`‡K cwiw¯’wZ wbqš¿‡Y Av‡m e‡j K·evRv‡ii Gmwc †mwjg †gvt Rvnv½xi IB w`b e‡jwQ‡jb| ivgy‡Z msL¨vjNy m¤úª`v‡qi Rxeb-m¤ú` myi¶vq Kx c`‡¶c †bqv n‡qwQj, Zv cÖwZ‡e`b AvKv‡i w`‡Z GKwU wiU Av‡e`‡b cywj‡ki gnvcwi`k©K‡K MZ 3 A‡±vei wb‡`©k w`‡qwQ‡jb nvB‡KvU©|

mywcÖg †Kv‡U©i AvBbRxex I ivgyi evwm›`v †R¨vwZg©q eo–qvi Av‡e`‡b IB wb‡`©‡ki ci eyaevi wgR©v †nv‡mBb nvq`vi I KvRx †gvt BRviæj nK AvK‡›`i nvB‡KvU© †e‡Â cÖwZ‡e`b †`b AvBwRwc|

cywjkcÖav‡bi c‡¶ †R¨ô mnKvix cywjk mycvi (AvBb) †gvt wgRvbyi ingv‡bi ˆZwi Kiv GB cÖwZ‡e`b †WcywU A¨vUwb© †Rbv‡ij Avj Avwgb miKvi Av`vj‡Z `vwLj K‡ib|

¯^ivóªmwPe‡K GKB ai‡bi cÖwZ‡e`b w`‡Z ejv n‡jI wZwb Av`vj‡Zi KvQ †_‡K Av‡iv mgq wb‡q‡Qb|

AvBwRwci cÖwZ‡e`‡b ejv nq, K·evRvi cywjk mycv‡ii Kv‡Q D‡ËRbv Qwo‡q covi Lei cvIqvi ci Awej‡¤^ cywj‡ki gnvcwi`k©K NUbv¯’j, we‡kl K‡i ivgy‡Z AwZwi³ cywjk †gvZv‡q‡bi e¨e¯’v K‡ib| IB GjvKvq h_vh_ wbivcËvg~jK e¨e¯’v MÖn‡Yi Rb¨ wZwb miKv‡ii Ab¨vb¨ †÷K‡nvìv‡ii m‡½ †hvMv‡hvM K‡ib|

Z‡e nvmvb gvngy` L›`Kvi KLb Lei †c‡qwQ‡jb, Zv cÖwZ‡e`‡bi †Kv_vI ejv nqwb|

NUbvi ciw`b ¯^ivóªgš¿xi m‡½ AvBwRwci ¶wZMÖ¯Í GjvKv cwi`k©‡bi K_v Zz‡j aiv nq cÖwZ‡e`‡b|

wZwb ivgy I ZrmsjMœ GjvKvi msNwUZ NUbvq `vqx‡`i weiæ‡× Z¡wiZ e¨e¯’v wb‡Z Dcw¯’Z IB GjvKvi cywj‡ki Dc-gnvcwi`k©Kmn Ab¨vb¨ Kg©KZ©v‡K wb‡`©kbv †`b|

wbivcËvi ch©vß e¨e¯’vcbv, i¨ve, cywjk, Avg©W cywjk, wewRwemn wbivcËv i¶x‡`i cvidi‡gÝ Ges mvwe©K cwiw¯’wZ cywjk gnvcwi`k©K wb‡RB gwbUi K‡i‡Qb e‡j ejv nq cÖwZ‡e`‡b|

ivgy‡Z nvgjv †VKv‡Z cywjkmn cÖkvmb e¨_© wQj e‡j gvbevwaKvi msMVbmn wewfbœ gnj †_‡K `vwe D‡V‡Q| cÖkœ D‡V‡Q ¯’vbxq cywjk Kg©KZ©v‡`i f‚wgKv wb‡qI|

¶wZMÖ¯Íiv Awf‡hvM K‡i‡Qb, ¯’vbxq cÖkvmb I cywjk mgqg‡Zv Zrci n‡j NUbv G‡Zv eo n‡Z cvi‡Zv bv|

wewfbœ gnj †_‡K Awf‡hvM IVvi ci ivgy _vbvi ZrKvjxb Iwm bwReyj Bmjvg‡K cÖZ¨vnvi Kiv nq|

AvBwRwci cÖwZ‡e`‡b ejv nq, 29 †m‡Þ¤^‡ii IB NUbvi ¯^iƒc Rvb‡Z miKv‡ii Z`šÍ KwgwU QvovI PÆMÖvg †i‡Äi cywj‡ki Dc-gnvcwi`k©‡Ki †bZ…‡Z¡ wZb m`‡m¨i Ab¨ GKwU KwgwU Kiv n‡q‡Q|

mswkøó mg‡q `vwqZ¡ cvj‡b AvBbk„•Ljv i¶vKvix evwnbxi †Kv‡bv Ae‡njv wQj wK bv, Zv Z`šÍ Ges †m e¨vcv‡i my¯úó mycvwik cÖ`v‡bi KvRI †`qv n‡q‡Q|

cÖwZ‡e`‡b Rvbv‡bv nq, ivgy Ges Gi Avkcv‡ki IB NUbvq †Kej K·evRv‡ii PviwU _vbvq †gvU 16wU gvgjv n‡q‡Q Ges m‡›`nfvRb 211 Rb‡K †MÖßvi Kiv n‡q‡Q|

cÖwZ‡e`‡b ejv nq, ivgy‡Z cwiw¯’wZ ¯^vfvweK Ki‡Z cywjk gnvcwi`k©K ¯’vbxq cywjk cÖkvmb, me m¤úª`v‡qi †bZv, ivRbxwZK, mykxj mgv‡Ri m`m¨‡`i m‡½ ˆeVK K‡i‡Qb| me©‡kl cwiw¯’wZ †`L‡Z MZ 15 A‡±veiI wZwb K·evRvi hvb|

AvBwRwc Rvbvb, Av`vj‡Zi Av‡`k Abymv‡i mviv †`‡ki me ¯’v‡b msL¨vjNy m¤úª`v‡qi Rxeb, m¤ú`, ag©xq ¯’vcbvq wbivcËv weavb Ges AbvKvw•ÿZ NUbv †VKv‡Z mZK©Zvg~jK c`‡¶c wb‡Z me cywjk BDwbU‡K wb‡`©k †`qv n‡q‡Q|





Av‡Mi msev`†kvK msev`
ivgy‡Z AvZ¼, ivRbxwZK‡`i Kv`v QzovQzwo
†fv‡ii KvMR : 18/10/2012
MvRx gwneyi ingvb : GB †jLvUv hLb wjLwQ wVK ZLb weª‡U‡bi cÖavbgš¿xi Kvh©vj‡qi evB‡i we‡j‡Z emevmiZ evOvwj †eŠ× ag©vej¤^x †jvKRb ivgyi NUbvi cÖwZev‡` we‡ÿvf Ki‡Q| Zv‡`i m‡½ †hvM w`‡q‡Q kÖxj¼v I †bcv‡ji †eŠ× ag©vej¤^xivI| Zv‡`i kvwšÍc~Y© cÖwZev` I we‡ÿv‡fi GK duv‡K ¯’vbxq evsjv wgwWqv‡K Zv‡`i cÖwZwµqv e¨³ Ki‡Z wM‡q cÖ‡Z¨‡KB GKwU K_v D”PviY K‡i‡Qb †h, Zviv ag©xq m¤úªxwZ‡Z wek¦vm K‡ib Ges fwel¨‡Z †hb Avi G ai‡bi NUbv bv N‡U Zvi Rb¨ Zviv miKv‡ii cÖwZ AvnŸvb Rvwb‡q‡Qb| B‡Zvg‡a¨ we‡j‡Zi †eŠ× ag©vej¤^xiv GKwU msMV‡bi e¨vbv‡i ivgyi GB NUbvi cÖwZev` Rvwb‡q evsjv wgwWqvi m‡½ †cÖm Kbdv‡iÝI K‡i‡Q| we‡j‡Zi evOvwj †eŠ×iv DwØMœ| Avi ivgy, cwUqv, K·evRv‡ii †eŠ×iv AvZw¼Z| Zviv †hb †Kv‡bvfv‡eB wek¦vm Ki‡Z cvi‡Qb bv †h webv Kvi‡Y Zv‡`i ag©xq Dcmbvjq, Zv‡`i emZwfUv iv‡Zi Auvav‡i Ggb bviKxq Kvq`vq R¡vwj‡q-cywo‡q †kl K‡i w`‡Z cv‡i| kZ eQ‡ii GB †Pbv Rbc` †hb Zv‡`i Kv‡Q AcwiwPZ, A‡Pbv jvM‡Q| hyM hyM a‡i P‡j Avmv ag©xq †mŠnv`©¨-m¤úªxwZi GB evsjv‡`‡k G †Kvb ag©vÜ wnsmªZv? bvwK ag©xq m¤úªxwZ b‡ói gva¨‡g †Kv‡bv ivR‰bwZK dvq`v jyUvi lohš¿? †dmey‡Ki GKwU Qwe‡K †K›`ª K‡i †Kv‡bv iKg hvPvB-evQvB bv K‡iB ûRy‡M evOvwj †g‡Z DV‡jv kZ eQ‡ii m¤úªxwZ f‡½i G †Kvb mwnsm †Ljvq! ag©xq mnve¯’v‡bi cÖwZ †h Awek¦v‡mi m~ÎcvZ n‡q‡Q Zv KvwU‡q D‡V ivgy, cwUqv, K·evRvi Ges wek¦evmxi Kv‡Q ag©xq m¤úªxwZi Av¯’v wdwi‡q Avbv hLb Riæwi wVK ZLb Avgv‡`i ivR‰bwZK `j¸‡jv †g‡Z D‡V‡Q G‡K Ac‡ii Nv‡o †`vl Pvcv‡bvi †Ljvq|

weª‡U‡b hLb GK GK K‡i eÜ n‡”Q Zv‡`i ag©xq Dcvmbvjq Z_v PvP©, GgbB cwiw¯’wZ‡Z GLv‡b M‡o DV‡Q G‡Ki ci GK gmwR`, wKsev gmwR‡` gymwjø‡`i RvqMv m¼zjvb n‡”Q bv e‡j m¤úªmvwiZ n‡”Q Av‡M †_‡KB wbwg©Z gmwR`¸‡jv| GgbI †`Lv hvq eÜ nIqv PvP©‡K µq K‡i M‡o Zzjv n‡q‡Q gmwR`| evOvwj Aay¨wlZ A‡bK GjvKvqB cvkvcvwk Pvi-cuvPwU gmwR`I †Pv‡L c‡o GB we‡j‡Z| gv‡S gv‡S fz‡j hvB GLv‡b Avgiv (gymjvgvb wn‡m‡eB ewj Avi evOvwj wn‡m‡eB ewj) msL¨vjNy m¤úª`vq| KviY weªwUk‡`i †PŠ× cyiæ‡li GB †`‡k Avgiv †h Abvevmx, Awfevmx Zv ivóªhš¿ †_‡K ïiæ K‡i cv‡ki evwoi †mB e„× Bs‡iR gvbylwUI †Kv‡bvw`b eyS‡Z †`qwb Avgiv GLv‡b msL¨vjNy| eûRvwZK gvby‡li GB †`‡k ag©xq A‡_© KvD‡K msL¨vjNy (gvBbiwU) wn‡m‡e we‡ePbv Ki‡Z Avwg AšÍZ †`wLwb| nu¨v, ejv n‡q _v‡K cÖvqkB †kvbv hvq G¨v_wbK gvBbiwU wKš‘ ag©xq we‡ePbvq KvD‡K IBfv‡e euvKv †Pv‡L †`Lv n‡q‡Q e‡j Avgvi Rvbv †bB|

GB‡`‡k †h wew”Qbœ mwnsmZvi NUbv NU‡Q bv Zv wKš‘ bq| GB‡Zv †mw`b, webv Kvi‡Y KZ©e¨iZ Ae¯’vq `yRb gwnjv cywjk Awdmvi‡K Lyb Kiv n‡q‡Q, cuvP eQ‡ii wkï‡K ¸g Kiv n‡q‡Q hvi jv‡ki mÜvb GL‡bv †g‡jwb wKš‘ cv_©K¨ n‡jv GB RvqMvUv‡Z †h GB wkïwU ¸g nIqvi ci †_‡K ¯’vbxq AvBbk„•Ljv iÿvKvix evwnbx m¤¢ve¨ Ggb †Kv‡bv †Póv †bB †hwU cÖwZwbqZ Ki‡Q bv ïay ZvB bq ¯’vbxq nvRv‡iv evwm›`viv GB wkïwUi cwiev‡ii cÖwZ mg‡e`bv Rvwb‡q i¨vwj K‡i‡Q, Dcmbvj‡q cÖv_©bv K‡i‡Q Avi wgwWqv Kfv‡iR wQj cÖksmbxq| B‡Zvg‡a¨B m‡›`nfvRb GKRb‡K †MÖßvi Kiv n‡q‡Q| MZ eQ‡ii `v½vi K_v nq‡Zv meviB g‡b Av‡Q| we‡j‡Zi BwZnv‡m Zz”Q welq wb‡q `v½vi g‡Zv G iKg b¨°viRbK NUbvi ciI ivRbxwZwe`‡`i g‡a¨ G‡K Aci‡K †`vlv‡`vlx K‡i †Kv‡bviKg Kv`v QzovQzwo nqwb, eis †`‡ki ¯^v‡_© wfbœ ivR‰bwZK `‡ji KvQ †_‡K †kvbv †M‡Q GKB myi| A_P Avgv‡`i †mvbvi evsjv‡`‡k kZ eQ‡ii ag©xq mnve¯’vb‡K aŸsm Kivi Rb¨ Ggb GKwU mwnsm NUbvi ci Avgv‡`i ivR‰bwZK †bZ…e„›` GKwU mw¤§wjZ Ae¯’v‡b `uvov‡Z cvi‡jv bv! RvwZ wn‡m‡e G eoB j¾vi! †`‡k msL¨vjNy wbh©vZb bZzb wKQz bq| GB miKv‡ii Avg‡jB n‡q‡Q GgbI bq| ¯^vaxbZvi ci †_‡K mKj miKv‡ii Avg‡jB wew”Qbœ, wewÿßfv‡e msL¨vjNy wbh©vZ‡bi NUbv N‡U P‡j‡Q| wKš‘ `yt‡Li welq AvR ch©šÍ †Kv‡bv NUbv‡K ivR‰bwZK ¯^v‡_©i E‡aŸ© D‡V myôz Z`‡šÍi gva¨‡g GKwU `„óvšÍg~jK wePvi Avgiv GL‡bv †`wLwb|

Avgv‡`i g‡a¨ GKUv e×g~j aviYv ˆZwi n‡q wM‡qwQj †h msL¨vjNy gv‡bB wn›`ya‡g©i †jvKRb| wKš‘ Gev‡ii ivgyi NUbv Avgv‡`i ¯§iY Kwi‡q w`‡jv †eŠ×ivI G‡`‡k msL¨vjNy| Kv‡RB †eŠ×‡`iI GB msL¨vjNy wbh©vZ‡bi evB‡i ivLv DwPZ n‡e bv! Avi ZvB nq‡Zv ivgy‡Z Ggb b„ksm NUbv †`L‡jv RvwZ-wek¦| †h †PZbvi wfwˇZ †`k ¯^vaxb n‡qwQj, Avgiv †h Zv †_‡K K‡Zv `~‡i P‡j G‡mwQ Zv Avev‡iv Avgv‡`i ¯§iY Kwi‡q w`‡jv Gev‡ii ivgyi GB AbvKvw•ÿZ NUbv|

¯^vaxb evsjv †eZvi †K‡›`ª MvIqv i_x›`ª bv_ iv‡qi †mB KvjRqx MvbÑ †QvU‡`i eo‡`i mK‡ji, Mwi‡ei wbt‡¯^i dwK‡ii… wn›`y, gymwjg, †eŠ×, wLª÷vb †`kgvZv GK mK‡ji| GB Mv‡bi K_v¸‡jv wK †KejB Mv‡bi K_v n‡q _vK‡e bvwK Avgiv Avgv‡`i K‡g©i ga¨ w`‡q cÖgvY Ki‡ev †h GB †`kUv mwZ¨ mwZ¨ wn›`y gymwjg †eŠ× wLª÷vb mevi?

ivgy‡Z hviv Av¸b jvMv‡jv Zviv wK GKevi †f‡e †`‡L‡Q †h we‡k¦i wewfbœ †`‡k K‡Zv jvL jvL evOvwj gymjgvb msL¨vjNy wn‡m‡e ¯’vqxfv‡e emevm Ki‡Q? hv‡`i †iwg‡U‡Ýi UvKvq †`‡ki A_©bxwZi PvKv mPj i‡q‡Q GKevi wK Zv‡`i cwiYwZi K_v †f‡e †`‡L‡Q e½gvZvi G Kzjv½viiv| cÖevmx‡`i wb‡q D‡Ø‡Mi myi †kvbv †M‡Q miRwgb ivgy cwi`k©‡b hvIqv ¯^qs cÖavbgš¿xi K‡ÉI| wKš‘ nZvkvi myiI Kg †kvbvbwb gvbbxq cÖavbgš¿x| wZwb mivmwi we‡ivax`jxq ¯’vbxq mvsm`‡K †hfv‡e †`vlv‡ivc Ki‡jb Zv‡Z hw` mwZ¨ mwZ¨I H mvsm‡`i †Kv‡bviKg BÜb †_‡KI _v‡K Zvn‡jI wZwb ivR‰bwZK `jv`wji gvSLvb w`‡q †ei n‡q hv‡eb hv Avgiv AZx‡Z A‡bK NUbvi †ÿ‡ÎI †`‡LwQ| ivgyi GB b¨°viRbK NUbv‡K ivRbxwZi Kv`v QzovQzwo †_‡K `qv K‡i `~‡i ivLyb Ges cÖK…Z NUbv D`NvU‡b †mv”Pvi †nvb Avi Zv bvn‡j fwel¨‡Z Gi cwiYwZ n‡e fqven|

Bmjvg kvwšÍi ag©| Bmjvg Avgv‡`i wbðqB Ab¨ a‡g©i Ici AvNvZ Kivi wkÿv †`q bv| Avgv‡`i AvPiY w`‡qB cÖgvY Ki‡Z n‡e †h Avgiv Ab¨vb¨ a‡g©i †_‡K Avjv`v| †mUv Aek¨B G ai‡bi wnsmª †Kv‡bv cš’vq bq|

`y‡qKwU wew”Qbœ NUbv Qvov ag©xq m¤úªxwZi GK D¾¡j `„óvšÍ wn‡m‡eB evsjv‡`k G‡Zvw`b wek¦`iev‡i cwiwPZ wQj| wKš‘ Gev‡ii ivgyi NUbv‡K †Kv‡bvfv‡eB GKwU wew”Qbœ NUbv e‡j Dwo‡q †`qvi my‡hvM Av‡Q e‡j Avwg g‡b Kwi bv| AÎ GjvKvi †eŠ× ag©vej¤^x gvby‡li g‡a¨ †h AvZ‡¼i m„wó n‡q‡Q Zv wdwi‡q Avbv GLb Avgv‡`i mevi `vwqZ¡| Ges ÿwZMÖ¯Í gw›`i, evwoNi wbg©vYmn mvwe©K mnvqZv cÖ`v‡bi gva¨‡g Zv‡`i cv‡k miKvi wbivcËvi Pv`i wb‡q `uvov‡e GgbUv ag©xq m¤úªxwZ‡Z wek¦vmx gvbyl¸‡jv cÖZ¨vkv K‡i|

evsjv‡`‡ki ¯^vaxbZv msMÖv‡g †`‡ki msL¨vjNy m¤úª`vq we‡kl K‡i wn›`y, †eŠ× Zv‡`i wK Kg AZ¨vPvi, AbvPvi mn¨ Ki‡Z n‡q‡Q? hy×Kvjxb cvKevwnbx Avi hy×-cieZ©x mg‡q †`‡ki wKQz myweav‡fvMx jyUZivR K‡i‡Q wn›`y evwoNi, bvbviKg AZ¨vPvi K‡i‡Q msL¨vjNy m¤úª`v‡qi Ici| G‡ZvwKQzi ciI evsjvi wn›`y, evsjvi †eŠ×, evsjvi wLª÷vb, evsjvi gymjgvb Avgiv mevB evOvwj.. GB Mv‡bi my‡i my‡i GKwU ag©xq m¤úªxwZ M‡o D‡VwQj G K_v Avkv Kwi mevB ¯^xKvi Ki‡eb| ivgyi NUbv wb‡q †h ivRbxwZ ïiæ n‡q‡Q G e¨vcv‡i ¯’vbxq †jvKRb B‡Zvg‡a¨B Zv‡`i D‡ØM cÖKvk K‡i‡Qb| ivgyi NUbv wb‡q †Kv‡bv ivRbxwZ bq, Avmyb ag©xq m¤úªxwZi gva¨‡g kZ eQ‡ii HwZn¨ wn›`y-gymjgvb-†eŠ× mevi mnve¯’vb wbwðZ Kwi|

g¨vb‡P÷vi, hy³ivR¨ †_‡K

MvRx gwneyi ingvb : Kjvg †jLK|